21 Nov 2024, 07:31 pm

ঝিনাইদহের মহেশপুরে সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় জনগণের দুর্ভোগ চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুরে সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সেবা প্রত্যাশীরা। দিনের পর দিন জমি রেজিস্ট্রি না করতে পারায় জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভোগান্তির পাশাপাশি সরকারও হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। তাই দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে সাব-রেজিস্ট্রার পদায়নের দাবী সেবা প্রত্যাশীসহ সংশ্লিষ্টদের।
স্থায়ী সাব-রেজিস্টার থাকতে আগে যেখানে প্রতি মাসে ৯০০ দলিল রেজিস্ট্রি হতো, এখন সেখানে হচ্ছে মাত্র ৪০০শ’ দলিল।

তার ফলে সরকারের এ খাত থেকে রাজস্ব কমেছে মাসে প্রায় ২ কোটি টাকা।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, মহেশপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আওতায় পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়নের ২৫৫টি গ্রামে প্রায় ৪ লাখ মানুষ বসবাস করেন। এই উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার গত বছরের ডিসেম্বরে বদলি হওয়ার কারণে বিভিন্ন গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে দলিল রেজিস্ট্রি না করে। প্রায় ১০ মাস স্থায়ী সাব রেজিস্ট্রার না থাকার কারণে জমি রেজিস্ট্রি হচ্ছে না ঠিকমতো।
১ জন সাব-রেজিস্ট্রারকে পালাক্রমে (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) এ দুই উপজেলায় দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। ফলে চরম দুর্ভোগে সেবা প্রত্যাশীরা। রেজিস্ট্রি না হওয়ায় শত শত জমি ক্রেতা-বিক্রেতা ও জরুরি কাজে দলিল উত্তোলনকারীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। পাশাপাশি সরকার প্রতি মাসে প্রায় ২ কোটি টাকার রাজস্বও হারাচ্ছে।

সেবা প্রত্যাশীদের অভিযোগ, সকাল ৯টার সময় অফিস চালু হওয়ার কথা থাকলেও সাব-রেজিস্ট্রার মহেশপুরে আসেন ১১টার পরে। সাব-রেজিস্ট্রারের অভাবে কাজ হচ্ছে না। দলিল নিতে এসে অনেকে ফিরে যাচ্ছেন। দলিল রেজিস্ট্রি ও দলিলের নকল না পেয়ে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সাব-রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর ছাড়া কিছুই হয় না। এমন গুরুত্বপূর্ণ পদের অফিসার মাসের পর মাস না থাকায় সব কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে।
মহেশপুর উপজেলার সামন্তা গ্রামের নজের আলী জানান, তিন সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করে জমির দলিল রেজিট্রি করেছি। এতে করে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে আমাকে এবং সময় অপচয় হয়েছে।
দলিল লেখক বাবর আলী বাবু জানান, সপ্তাহে দুই দিন অফিস চলে। নিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রি অফিস না চলার কারণে দলিল লেখকসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার দুর থেকে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের।
দলিল লেখক জিয়াউর রহমান জানান, এতো বড় উপজেলায় একজন যদি সাব-রেজিস্ট্রি না থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। এক দিকে সাধারণ মানুষ দলিল রেজিস্ট্রি করতে না পেরে ভোগান্তি পাচ্ছে অন্যদিকে সরকার প্রতি মাসে মহেশপুরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই জরুরী ভিত্তিতে মহেশপুরে একজন সাব-রেজিস্ট্রার দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
নতুন অফিসার পদায়নের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান জেলা রেজিস্ট্রার।
মহেশপুর উপজেলায় গত বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে ১২ হাজার। অফিসার বদলি হওয়ার পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে চলতি মাস অক্টোবর পর্যন্ত দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ২০০শ’। স্থায়ী অফিসার না থাকায় প্রতি মাসে এভারেজ ৫০০ দালিল কম রেজিস্ট্রি হচ্ছে। সরকারের এ খাত থেকে রাজস্ব কমেছে মাসে প্রায় ২ কোটি টাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 4380
  • Total Visits: 1261201
  • Total Visitors: 4
  • Total Countries: 1668

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
  • ১৯শে জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, সন্ধ্যা ৭:৩১

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
    123
18192021222324
252627282930 
       
15161718192021
293031    
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018